নাছির হোসাইনঃ পাবনার বেড়ায় ঘুরতে এসে একদিনে যমুনা নদীতে ডুবে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (৯ জুন) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিক্ষার্থীরা হলো- উপজেলার জাতসাকিনী ইউনিয়নের নান্দিয়ারা গ্রামের ইমরান হোসেনের ছেলে সাফাওয়ান সোয়াদ (৭)। সে নগরবাড়ি মেরিটাইম স্কুল এন্ড কলেজের ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
অপরজন হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়নের নতুন পেঁচাকোলা গ্রামের উত্তম কর্মকারের ছেলে উৎসব কর্মকার (১৬)। উৎসব রাজধানীর একটি স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে ঢাকায় মা-বাবার সঙ্গে থাকত। ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসছিল। সোমবার বেলা দেড়টার দিকে বাড়ির পাশের যমুনা নদীতে মা-সহ পরিবারের আরও কয়েকজনের সঙ্গে গোসল করতে যায় উৎসব। গোসলের একপর্যায়ে মায়ের চোখের সামনে হঠাৎ সে স্রোতের টানে নদীর কিছুটা ভেতরের দিকে চলে যায়। এ সময় লোকজন তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সে স্রোতের টানে তলিয়ে যায়।
খবর পেয়ে কাশিনাথপুর ফায়ার সার্ভিসের ডবুরি দল বেলা আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ঐ দিন সোমবার বিকেলের দিকে পরিবারের লোকজনের সাথে নগরবাড়ি বন্দর এলাকায় ঘুরতে যায় শিশু সোয়াদ। একপর্যায়ে কয়েকজন যমুনা নদীতে নামে সাঁতার কাটতে। নদীতে পানি কম থাকলেও স্রোত ছিল বেশ। স্রোতে কয়েকজন ভেসে যায়। এসময় শিশু সোয়াদও সকলের চোখের অগোচরে ডুবে যায়। একপর্যায়ে সকলে উঠতে পারলেও ডুবে যায় সোয়াদ। অনেক চেষ্টার পর ওই শিশু ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কাশিনাথপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেন, নদীতে প্রবল স্রোত আছে। সাঁতার না জানা শিশু-কিশোরদের কোনভাবেই নদীতে নামতে দেওয়া উচিত নয়। অভিভাবকদের এ বিষয়ে সতর্ক হতে অনুরোধ করছি।