নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বেড়ায় ফ্যান চুরির মামলায় প্রধান শিক্ষকের ছেলে গ্রেফতার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের ভারেঙ্গা একাডেমি নামের একটি স্কুলে। এ ঘটনায় ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ছেলে কে গ্রেফতার করেছে বেড়া মডেল থানার পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাতে তাকে স্কুলের পার্শ্ববর্তী নতুন ভারেঙ্গা নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চুরির মামলায় অভিযুক্ত ইমরুল কায়েস হৃদয় (২৭) ভারেঙ্গা একাডেমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মাহফুজার রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় এরাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ভারেঙ্গা একাডেমি (স্থাপিত ১৮৫৮) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাধিক বার চুরি ঘটনা ঘটলেও প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেন নি অদৃশ্য কারণে । পূর্বের ন্যায় এবারও চুরির ঘটনা টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তিনি। স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করে বলেন, এলাকাবাসির প্রতিবাদে মামলা করলেও প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান নিজে মামলা না করে কৌশলে উল্টো স্কুলের দফতরি কে দিয়ে মামলা করিয়েছেন। চুরির ঘটনা টি যাতে আড়াল করা যায় এবং চুরির রহস্য উদঘাটন না হয়। এলাকাবাসীর দাবী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টি চোর চক্র ও মাদকের হাত থেকে রক্ষা পাক।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ২ জানুয়ারি ভারেঙ্গা একাডেমিতে ছয়টি ফ্যান চুরির ঘটনা ঘটেছিল। পরদিন স্থানীয় কালামের ভাঙ্গারির দোকান থেকে ছয়টি ফ্যান উদ্ধার করে প্রধান শিক্ষক ও দপ্তরি। চুরির ফ্যান উদ্ধারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে জানান। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থালে পুলিশের সদস্য এস আই রুহুল আমিন ও এ এস আই সুধীর এসে স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে উক্ত মালামাল ছয়টি ফ্যান গ্রাম পুলিশের সদস্য হাবিলের জিম্মায় রেখে যায়। পরবর্তীতে চুরির মালামাল গ্রাম পুলিশের সদস্য হাবিলের নিকট থেকে বেড়া থানার পুলিশ উদ্ধার করে ফ্যান গুলো তাদের জিম্মায় নিয়ে যায়। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে উক্ত চুরির মামলায় ভাঙ্গারি দোকানদার আবুল কালাম দীর্ঘ দিন কারাভোগ করেন।
ভারেঙ্গা একাডেমি স্কুলের পার্শ্ববর্তী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমানের ছেলে মাদকাসক্ত। সে মাদক কারবারিদের নিয়ে স্কুলে মাদক সেবন কেনা বেচা সহ স্কুলেটিতে ইতিপূর্বে বিভিন্ন অপকর্ম করলেও তার বাবা প্রধান শিক্ষকের প্রভাবের কারণে এলাকাবাসী কিছু বলতে সাহস পায়নি। তার নামে স্কুলের ঘন্টার বেল,সাবমারসিবল,
ল্যাপটপ-বিদুৎতের তার, টিউবওয়েল চুরি সহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। সে এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারি। স্কুলে দিনে দুপুরে তার সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে মাদকের রামরাজত্ব কায়ম করে। ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার সাহস পায়না।
এ বিষয়ে ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মাহফুজার রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ অলিউর রহমান বলেন তার বিরুদ্ধে চুরি সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। সে চুরির মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তাকে রবিবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।